নতুন কারিকুলাম এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

কারিকুলাম প্রশিক্ষণের লক্ষ্য—

‘ মাঠ পর্যায়ে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারা।’

নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা কীভাবে যোগ্যতা অর্জন করবে —

#অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন

#হাতে কলমে শিখন

#প্রকল্প এবং সমস্যাভিত্তিক শিখন

#সহযোগিতামূলক শিখন

#অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন

#স্ব-প্রণোদিত শিখনের সংমিশ্রণ

#অনলাইন ও মিশ্র শিখন।

#যোগ্যতা কী?

‘জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে অর্জিত সক্ষমতা।

##মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, সাম্য, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করবে।

নতুন কারিকুলামে শিক্ষাকে প্রতিযোগিতামূলক নয়, সহযোগিতামূলক করা হয়েছে।

পরস্পরের মতের বিনিময় ঘটিয়ে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।

এই ধারণায় এবার শিক্ষক বই পড়াবেন না; তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিখন-অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবেন। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

#শিখন শেখানোর ধাপ:

নীরব পাঠ, সরব পাঠ, একক কাজ, দলগত কাজ, উপস্থাপন, প্রদর্শন ও প্রশ্নোত্তর।

#শিক্ষার্থীর জন্য পাঠ্যবই আর শিক্ষকের জন্য ‘শিক্ষক সহায়িকা’। শিক্ষককে শিক্ষক সহায়িকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই।

#পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনেও পাঠদান করা যাবে।

নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা নেই। হ্যাঁ, পরীক্ষানাই তবে মূল্যায়ন আছে ।

১. শিখনকালীন মূল্যায়ন ও

২. সামষ্টিক মূল্যায়ন।

মূল্যায়নের জন্য অ্যাপ ব্যবহার করা হবে।

এই ক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষার্থীর যোগ্যতার মূল্যায়ন নিশ্চিত করবেন। মূল্যায়নের ধারাবাহিক রেকর্ড সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করবেন রুব্রিক্স অনুযায়ী।

শিখনকালীন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আচরণিক বৈশিষ্ট্য, অংশগ্রহণ ও উপস্থাপন ই হবে ‘পারদর্শিতার নির্দেশক’।

নতুন কারিকুলামে কাজ করবেন বেশি। শিক্ষার্থীর পড়াশোনার চাপ নেই। তার যোগ্যতা অনুযায়ী সে শিখবে।

নতুন কারিকুলামের রুপকল্পঃ

মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত, দেশ প্রেমিক, উৎপাদনমুখী, অভিজোযনে সক্ষম, সুখী ও বৈশ্বিক নাগরিক গড়ে তোলা।
সম্পাদনায়
মোঃ ময়দুল ইসলাম
শিক্ষক ও শিক্ষক প্রশিক্ষক